গ্যাস হলেই গ্যাসের ঔষধ নয়, সুস্থ থাকার জন্য কিছু অভ্যাস মেনে চলুন।
ভূমিকাঃ গ্যাসের ঔষধ ছাড়াই সুস্থ থাকার উপায়।
গ্যাস-অম্বল বাঙালি জীবনের একটি অংশ। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা-সারা বছর বমি বমি ভাব, বমি, পেটে ব্যথা এবং ডায়রিয়া হয়ে থাকে। তাই পরিপাক সংক্রান্ত সমস্যাগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গ্যাস-অম্বল প্রতিরোধের জন্য অনেকেই বিভিন্ন ঔষধ খান। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধরনের ওষুধ না খাওয়াই ভালো। ঘন ঘন গ্যাসের ঔষধ ব্যবহার করা অনেকটাই বিপজ্জনক। প্রায়শই, বিপরীতটিও ঘটে যেতে পারে। তাই, হজমে সমস্যা এড়াতে সকালে কিছু ব্যায়াম করা এবং কিছু খাদ্যাভাস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গরম পানি ও লেবুর রসঃ
ওজন কমাতে অনেকেই লেবু-শরবত খান। কিন্তু এই লেবু-শরবত শুধুমাত্র ওজন কমানোর জন্য দরকারী নয়। এটি হজমেও সাহায্য করে থাকে। লেবুতে বিদ্যমান অ্যাসিড পেটে গ্যাস জমা হতে দেয় না এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও বাড়ায়ে দেয়। লেবু-শরবত রোগের বিরুদ্ধেও লড়াই করার শক্তি বৃদ্ধি করে দেয়। তাই নিয়মিত এই লেবু-শরবত পান করতে পারেন।
শারীরিক ব্যায়ামঃ
সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই। নিয়মিত ব্যায়াম করলে অনেক রোগকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এবং হজমের সমস্যাও অনেকটা কমিয়ে দেয়। আপনি কী ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যোগব্যায়াম বা ধ্যান করতে পারেন। কিন্তু জিম করার তেমন কোন প্রয়োজন নেই।
আরো পড়ুনঃ আখরোট খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্ষতি।
ভেজানো কাঠবাদাম খানঃ
কাঠবাদাম শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। কাঠবাদামে ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, প্রোটিন এবং খনিজ পদার্থের মতো পুষ্টিতে ভরপুর থাকে। প্রতিটি উপাদান শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে ও হজমের সমস্যা দুর করে থাকে। অনেকেই শুকনো ফল খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু কাঠবাদাম শুকনো খেলে হয় না। হজমে সমস্যা এড়াতে কাঠবাদাম ভিজিয়ে খেতে হবে।
আদাঃ
অ্যাসিডিটির জন্য আদা একটি খুবই উপকারী উপাদান। একটি গবেষণা, ২০০৮ সালে ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি অ্যান্ড হেপাটোলজিতে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, আদা খেলে খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়। পেট খুব খালি হয়ে গেলে সেই খালি পেটে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে। তাই কোনও মশলাদার বা ভারী খাবার খাওয়ার আধ ঘন্টা আগে এক টুকরো আদা খেয়ে নিলে কোনও সমস্যা হবে না।
আরো পড়ুনঃ ওজন কমাতে মেটাবলিজম বাড়ানোর খাবার সমূহ্।
রসুনঃ
গ্যাসের জন্য রসুনও কিন্তু একটি খুব ভালো উপাদান। রসুন শুধু খাবারে সুস্বাদ তৈরি করে না। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা হজমে সহায়তা করে থাকে। তাই সম্ভব হলে দিনে দুই/ তিন কোয়া রসুন খেতে পারেন। এতে আপনার হজম শক্তি অনেকগুনে বৃদ্ধি পাবে।
জিরাঃ
যে কোনও খাবারে সামান্য একটু জিরা গুঁড়ো মসলা যোগ করলে খাবারের স্বাদও বৃদ্ধি পাবে এবং পাশাপাশি গ্যাসের সমস্যা থেকেও নিজেকে অনেকটা দূরে রাখতে পারবেন। ইচ্ছা হলে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ কলার সঙ্গে যে খাবারগুলো খাবেন না এবং কলা কোন সময় খাবেন জেনে নিন।
শেষকথাঃ
প্রিয় পাঠক গণ, আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন গ্যাসের ঔষধ ছাড়াই সুস্থ থাকার উপায় সম্পর্কে। কোন কোন কাজের মাধ্যমে আপনার খুব দ্রুত উপকার হবে, এছাড়া আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে। যাই হোক যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ
ভিজিট করুনঃ www.baneswarit.com
0 Comments