আখরোট খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্ষতি।

আখরোট খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্ষতি।

আপনারা যারা আখরোট খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্ষতি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে, আজকের পোস্টটি আপনাদের জন্য। কেননা আজকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন আখরোট খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্ষতি সম্পর্কে। এছাড়াও আরো জানতে পারবেন আখরোট কি কি রোগের পরিত্রাণের উপায় সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক আখরোট খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্ষতি সম্পর্কে।

ভূমিকাঃ আখরোট খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্ষতি।

যারা বাদাম খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আখরোট একটি সুপরিচিত নাম। তবে, অনেকে এই বাদামগুলি এড়িয়ে চলেন কারণ এগুলিতে চর্বি বেশি থাকে বলে। কিন্তু আসলে তা নয়। এতে উপস্থিত ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের বিভিন্ন উপায়ে উপকার করে। 


আখরোট খাওয়া ক্যান্সার, হৃদরোগের চিকিৎসার পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতেও সহায়তা করে থাকে। বাদামি এবং কালো আখরোট উভয়ই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। নিয়মিত আখরোট খাওয়ার উপকারিতা ও ক্ষতি সম্পর্কে জেনে নিন।

হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখেঃ

সুস্থ হৃৎপিণ্ডের কোনো বিকল্প নেই। আর এটা আপনাকে সাহায্য করতে পারে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য উপকারী। আপনি যদি প্রতিদিন কয়েকটি আখরোট খান তবে এটি রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করবে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং শরীরে ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়। তাই হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত আখরোট খান।

মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করেঃ

আখরোট দেখতে অনেকটা আমাদের মস্তিষ্কের মতো। এটি আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশেও সহায়তা করে। এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য আপনি নিয়মিত আখরোট খেতে পারেন। 

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ

আখরোট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, পলিফেনল এবং ইউরোলিথিন অ্যান্টি-ক্যান্সারের বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। স্তন ক্যান্সার, কোলন এবং প্রস্টেট প্রতিরোধে আখরোট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চের মতে, আখরোট খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

হাড় মজবুত করেঃ

হাড় দুর্বল হয়ে গেলে সতর্ক থাকুন। কারণ, এখান থেকে আরও সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। হাড় সুস্থ রাখতে নিয়মিত আখরোট খাওয়া ভাল। এতে আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড নামে একটি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও, আখরোটে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও হাড়কে সুস্থ ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে।

গর্ভাবস্থায় এটি উপকারীঃ

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রতিদিন আখরোট খাওয়া উপকারী। আখরোটে অ্যাভোকাডো ফোলেট, রাইবোফ্লাভিন এবং থায়ামিনের মতো বি-কমপ্লেক্স ভিটামিনে সমৃদ্ধ। এগুলি মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আখরোটে থাকা ফলিক অ্যাসিড গর্ভবতী এবং অনাগত শিশুদের জন্য খুবই উপকারী। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে যে কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন হয়ে পড়ে। করোনা মহামারী চলাকালীন আমরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দিকে কিছুটা মনোনিবেশ করেছি। আখরোট আপনাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আখরোটে ভিটামিন এবং খনিজ যেমন তামা এবং ভিটামিন বি-৬ থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।

রাতে ভালো ঘুমের জন্যঃ

আপনার যদি অনিদ্রা থাকে, তাহলে আপনার ডায়েটে আখরোট যোগ করুন। মেলাটোনিন আপনাকে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করে। আখরোটে উপস্থিত ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তচাপ কম রাখে এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়।
 

আখরোটের অসুবিধাঃ

প্রয়োজনের চেয়ে বেশি যে কেন খাবারই খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না। কারণ শরীরে পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন। তাই অন্যান্য খাবারের মতো আখরোটও অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি খুব বেশি আখরোট খান, তাহলে কিছু সমস্যা হতে পারে। যেমন -

*অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

*লিভারের সমস্যা হতে পারে।

*কালো আখরোটে উপস্থিত ফাইটেটগুলি শরীর থেকে আয়রন শোষণ করতে পারে। এর ফলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

শেষকথাঃ

প্রিয় পাঠক গণ, আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন ”আখরোটে” খাওয়ার উপকারিতা এবং ক্ষতি সম্পর্কে। এছাড়া আরো অনেকগুলো বিষয় সম্পর্কে। যাই হোক যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ

ভিজিট করুনঃ www.baneswarit.com

Post a Comment

0 Comments