প্রাকৃতিকভাবে লম্বা হওয়ার সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
শিশুদের উচ্চতা নির্ভর করে তাদের জিন, পুষ্টি, দৈনন্দিন অভ্যাস ও ঘুমের ওপর। তবে কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করলে শিশুদের স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করে। নিচে শিশুদের লম্বা হওয়ার কিছু সহজ ও কার্যকর উপায় আলোচনা করা হলো।
১। সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যঃ
শিশুর সঠিক বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাদ্য অত্যন্ত জরুরি। খাদ্য তালিকায় নিম্নোক্ত উপাদানগুলো অবশ্যই থাকা উচিত:
- প্রোটিন: ডিম, দুধ, মাছ, মুরগি, ডাল
- ক্যালসিয়াম: দুধ, দই, ছানা, কচুশাক
- আয়রন: পালং শাক, কলা, ডিমের কুসুম
- ভিটামিন ডি: সূর্যালোক, ডিম, মাছ
- জিংক ও ম্যাগনেশিয়াম: বাদাম, বীজ, শস্যদানা
২। পর্যাপ্ত ঘুমঃ
বাচ্চাদের দৈনিক ৮-১০ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুমের সময় শরীরে গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ হয়, যা উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৩। নিয়মিত ব্যায়াম ও খেলাঃ
নিচের কিছু ব্যায়াম শিশুর উচ্চতা বাড়াতে সাহায্য করে:
- দড়ি লাফ
- সাঁতার কাটা
- সাইকেল চালানো
- বাস্কেটবল খেলা
- যোগব্যায়াম (যেমনঃ সূর্য নমস্কার, তাড়াসন)
৪। সোজা ভঙ্গিঃ
শিশুদের সবসময় সোজা হয়ে হাঁটতে ও বসতে উৎসাহ দিন। বাঁকা হয়ে বসলে মেরুদণ্ডের বিকাশে সমস্যা হয়।
৫। পর্যাপ্ত পানি পানঃ
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে ও কোষ গঠনে পানি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত ৬-৮ গ্লাস পানি পান করতে উৎসাহিত করুন।
৬। মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকাঃ
অতিরিক্ত মানসিক চাপ শিশুদের হরমোন নিঃসরণে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই শিশুদের মাঝে আনন্দময় পরিবেশ নিশ্চিত করুন।
৭। সূর্যের আলো গ্রহণঃ
ভিটামিন ডি হাড়ের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সকালে ২০-৩০ মিনিট সূর্যালোক গ্রহণ করানো উচিত।
উপসংহারঃ
উচ্চতা অনেকাংশে জেনেটিক হলেও, উপরের অভ্যাসগুলো শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তাই শুরু থেকেই শিশুদের ভালো খাওয়া, ঘুম ও শারীরিক চর্চার প্রতি গুরুত্ব দিন।
0 Comments